রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: ঢাকাসহ সারাদেশে গরুর দুধ, দুই এবং গো-খাদ্যে কি পরিমাণ ব্যাক্টেরিয়া, কীটনাশক, সীসা রয়েছে তার নিরূপণের জন্য একটি জরিপ পরিচালনায় নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে খাদ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ সচিব, কৃষি সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, নিরাপদ খাদ্য কর্তপৃক্ষ চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্য, কেন্দ্রীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি এবং বিএসটিআই’র চেয়ারম্যানকে জরিপের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
দুগ্ধজাত খাবার ভেজাল প্রতিরোধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ বিবাদীদের (রেসপনডেন্ট) নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্যে ভেজালের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না-রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন ঠিক করেছে হাইকোর্ট।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের আলোকে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আজ এ আদেশ দেয় বলে সূত্র জানায়। আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিকালে আদালত বলেছেন, খাদ্যে ভেজাল মেশানো একটি বড় দুর্নীতি। এ ধরনের ভেজালে মানুষের কিডনি, লিভার নষ্ট হচ্ছে, ক্যান্সার হচ্ছে। কোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, মানুষ এখন শুধু টাকার পেছনে ঘুরছে। দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে কেউ ভাবছেন না।
পত্রিকায়প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে পুষ্টির অন্যতম প্রধান জোগান হিসেবে বিবেচিত গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাদ্যে এবার মিলেছে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান। গতকাল রবিবার এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে সরকারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গরুর খোলা দুধে অণুজীবের সহনীয় মাত্রা সর্বোচ্চ ৪ থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে ৭.৬৬ পর্যন্ত। বিভিন্ন উপাদান যা থাকার কথা বাস্তবে তার চেয়েও বেশী পাওয়া গেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গাভির খোলা দুধের ৯৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৬ শতাংশ দুধেই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর অণুজীব। ১৫ শতাংশ দুধে মিলেছে মানুষের জন্য গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা। ১৩ শতাংশে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি টেট্রাসাইক্লিন, ৯ শতাংশে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক ও ৩ শতাংশে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি আফলাটক্সিনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।